দেশি মুরগি খেতে না পারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় তোলা ‘অভাবী’ শিক্ষিকা শাহিনুর আক্তার শ্যামলীর তিনটি বাড়ি আছে বলে জানা গেছে। শ্যামলীর নিজ এলাকায় রয়েছে একতলা পাকা বাড়ি, আর শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার বরুরায় রয়েছে দুতলা ভবন। এছাড়া হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডে ‘আরাম কটেজ’ এর পাশে তার পাঁচতলা নিজস্ব ভবন রয়েছে।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক লাইভে ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন শাহিনুর আক্তার শ্যামলী। তিনি বলেন, আমি একজন শিক্ষক প্রতিনিধি। আমি দীর্ঘদিন এই পেশায় জড়িত। এখানে আমি ব্যক্তি শাহিনুরের কথা বলিনি। আমি আন্দোলনের সময় এ মন্তব্যের মাধ্যমে সব শিক্ষকের কষ্ট ও ক্রন্দন বোঝাতে চেয়েছি।
তিনি জানিয়েছেন, যা বলেছি রুপক অর্থে বলেছি, যা আমাদের আন্দোলনকে বেগবান করেছে। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের কষ্টে আমি একজন শিক্ষক নেত্রী হয়ে সহ্য করেছি। তাই আবেগতাড়িত হয়ে শিক্ষকদের কল্যাণেই আমার এ বক্তব্য।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডে শিক্ষিকা শাহিনুরের বাড়ি। হাজীগঞ্জ গার্লস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক তিনি। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন শাহিনুর। তার স্বামী কচুয়া উপজেলার রহিমানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শ্যামলীর গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাসারা গ্রামের মোল্লা বাড়িতে। তার এক মেয়ে ঢাকায় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে এবং ছোট ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার বড় ভাই সালাউদ্দিন মোল্লা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন, আর ছোট বোন সোহেলি চট্টগ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
সম্প্রতি রাজধানীতে শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন শিক্ষিকা শাহিনুর। এক গণমাধ্যমে তিনি বলেন, শিক্ষকরা দেশি মুরগি খেতে পারেন না’-তার এ মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

আপনার মতামত লিখুন :