আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নয় মাস পেরোতেই দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল (৭ মে) দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে তিনি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। তবে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকায় এ দেশত্যাগ ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
বিশেষ করে, দেশে যখন ‘জুলাই গণহত্যা’ নিয়ে বিচার চলছে, তখন এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত মামলার একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে নির্বিঘ্নে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশে চলে গেলেন- তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল না। ফলে নিয়ম মেনে সব কাগজপত্র যাচাই করে তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানায়, আবদুল হামিদ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড গেছেন।
একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। নিয়মিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে তিনি ফ্লাইটে ওঠেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয় গত ১৪ জানুয়ারি। মামলায় তাঁর পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থান ও সহিংসতার পরপরই এসব মামলার সূত্রপাত ঘটে।
এর আগে, কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে আরও প্রায় ৫০টি মামলা দায়ের হলেও সেগুলোর কোনোটিতে আবদুল হামিদের নাম ছিল না।
আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল প্রথমবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন তিনি। এর আগে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
আপনার মতামত লিখুন :