বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর)। ১৯৬৫ সালের এই দিনে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
জন্মদিন উপলক্ষে দেশ-বিদেশের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানালেও দলটির পক্ষ থেকে এবারও কোনও আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেক কাটা, আলোচনা সভা, পোস্টার বা ব্যানার লাগানো- এ ধরনের উদযাপন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বরং যাঁরা অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ভাবছেন, তাঁদের সেই অর্থ মানবিক কাজে ব্যয় করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শৈশবেই তারেক রহমান ঢাকা সেনানিবাসের শাহীন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হন, যা সে সময় কেবল সেনা কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত একটি ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠান ছিল। পরবর্তীতে তিনি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সকল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। উচ্চশিক্ষায় তিনি তার আগ্রহের বিষয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগকে বেছে নেন এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
রাজনীতিতে তারেক রহমানের যাত্রা শুরু ১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলায় বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণের মাধ্যমে। এরপর ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিএনপির পক্ষে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য নির্বাচিত হন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ত হন।
দলের জাতীয় প্রচারণা কৌশল কমিটির সদস্য হিসেবে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তার মা বেগম খালেদা জিয়া যে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেসব আসনের প্রচারণা সমন্বয়ের দায়িত্ব ছিল তারেক রহমানের ওপর। পাঁচটি আসনেই বিপুল ব্যবধানে খালেদা জিয়ার বিজয় প্রমাণ করে যে তিনি একজন দক্ষ ও দূরদর্শী সংগঠক হিসেবে ভবিষ্যতের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম।
তারেক রহমানের জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকতা থেকে সরে এসে মানবিকতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে এবারও সরলতা ও সংযমের চর্চা গুরুত্ব পাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের এমন নির্দেশনা অনুসরণ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি দায়িত্বশীল ও ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :