কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সকল খালের সীমানা চিহ্নিতকরনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে আন্ধারমানিক নদীর তীরে পৌর শহরের হেলিপ্যাড মাঠে এ ব্যতিক্রম সংবাদ সম্মেলন করা হয়। “ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)”, “পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, কলাপাড়া” ও “আমরা কলাপাড়াবাসী” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)” কলাপাড়া উপকূলীয় অঞ্চল সমন্বয়কারী মেজবাহউদ্দিন মাননু বলেন, খাল-নদী বেষ্টিত সাগরঘেষা কলাপাড়া উপজেলার অধিকাংশ মানুষের প্রধান পেশা কৃষি ও মৎস্য শিকার। এই অঞ্চলের কৃষিকাজ, নিত্যদিনের প্রয়োজনীয়তা ও জীবিকার অন্যতম উৎস খালের পানি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে খাল ভরাট, দখল ও দূষণের কারণে মিঠা পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ৬০-এর দশকে জলোচ্ছ¡াস ও লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে বেড়িবাঁধ ও সুইসগেট নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে এর বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে পলিতে খাল ভরাট, অন্যদিকে জমির মালিকরা সেই জায়গা দখল করে চাষাবাদ, পুকুর ও বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। তবে ভ‚মি অফিসের অনিয়ম ও উদাসীনতার কারণে এসব দখলদারিত্ব এখনও চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোমধ্যে অন্তত দুই শতাধিক খাল নিশ্চিহ্ন হয়েছে। তহশিল অফিসের অনীহায় ভরাট খালগুলো এখন কৃষিজমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো সরকারিভাবে মাছ চাষের নামে লিজ দিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যবহার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুনর্খনন প্রকল্পে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের মতামত না নেওয়ায় প্রয়োজনীয় খাল পুনর্খনন হয়নি। ফলে সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও কাঙ্খিত সুফল মিলছে না।
আরও বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভার লতাচাপলী মৌজার দেড় একর খাস খতিয়ানের একটি খাল নবোদয় হাউজিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভরাট করে দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখনো সরকারি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন “ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)” কলাপাড়া উপক‚লীয় অঞ্চল সমন্বয়কারী মেজবাহউদ্দিন মাননু,“পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, কলাপাড়া” সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম,“আমরা কলাপাড়াবাসী” সভাপতি নাজমুস সাকিব প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন :