বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আত্মসমর্পণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯ মে, ২০২৫, ০৪:৫৪ দুপুর

ঢাকার সাভারে মেয়ের বিরুদ্ধে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ভাড়া বাসা থেকে ওই তরুণীকে (২৩) আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে বাবাকে হত্যার কথা জানান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী বলেছেন, তিনি বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন। সেই মামলা তুলে নিতে চাপ ও বাগ্‌বিতণ্ডায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাবাকে হত্যা করেছেন।

এ সম্পর্কে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ও তরুণীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

আটক তরুণীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির বয়স ৫৭ বছর। তরুণীর মা তাঁর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে তরুণীর মা মারা যান। ২০১৯ সাল থেকে বাবা তাঁকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। ২০২৩ সালে তরুণী বাবার বিরুদ্ধে নাটোরে আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেন বাবা। একপর্যায়ে মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির মামলাও করেন। পরে সাভারে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন ওই বাবা। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওই বাসায় আসেন মেয়েটি। এর পর থেকে মেয়েকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময়ে চাপ দিতে থাকেন তিনি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। গতকাল বুধবার রাতে মেয়েটি খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ান। ভোররাত চারটার দিকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি মেরে বাবাকে হত্যা করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির ফ্ল্যাটের তিনটি কক্ষের একটি সাবলেট দেওয়া। অন্য দুটি কক্ষে মেয়ে ও বাবা থাকেন। অনলাইনে কাপড় বিক্রি করতেন তিনি। হত্যার আগে সাবলেট দেওয়া কক্ষটির দরজার বাইরে থেকে তালা দিয়েছিলেন মেয়েটি।

Link copied!