মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, পিআর চান, খুব ভাল কথা। পিআরের কথা বলে জনগণের কাছে যান। জনগণকে বুঝান, জনগণ মেনে নিলে আলহামদুলিল্লাহ। জনগণ যে রায় দিবে, সবাই মেনে নিবে।
আলোচনা চলা অবস্থায়, ঐক্যমত কমিশন সবার সাথে কথা বলেছে, ওই সময় আপনারা রাজনৈতিক কর্মস‚চি দিয়ে মাঠে চলে গেলেন। আপনারা কি চান ? সংঘাতের দিকে কি যেতে চান। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমীতে পৌর বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন- আলোচনার টেবিলকে কি অবিশ্বাস করতে চান। নাকি অন্য কিছু। নির্বাচন পিছিয়ে যাক সেটি চান ?।
আজকে অনেকেই বলছেন পিআর ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না ? এবং পিআর ছাড়া নাকি শাসক স্বৈরাচার হয়ে যাবে। আমার জানতে ইচ্ছে করে বাংলাদেশের সংবিধানে কোথাও কি স্বৈরাচার হওয়ার কথা লিখা ছিলো। সংবিধানের তো কোন দোষ নাই, দোষ হচ্ছে যারা রাতের ভোট দিনে করেছেন। যারা বিনা ভোটের নির্বাচন করেছেন। যারা আমি ডামির নির্বাচন করেছেন। জনগণকে দেশের মালিক মনে না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য আর প্রশাসন আর বিচার বিভাগের কিছু মানুষকে কব্জা করে দেশ শাসনের চেষ্টা করেছেন। দেশটাকে নিজেদের পৈতিক সম্পত্তির মতো ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। দোষ তো তাদের। দোষ তো সংবিধানরে নয়। সংবিধানে তো খুব ভাল ভাল কথা লিখা ছিলো।
সংবিধান স্বৈরাচার হতে বলে নাই। কিন্তু যারা ব্যবহার করেছেন, মানুষের অধিকারকে তারা তোয়াক্কা করেন নাই। জনগণের ভোটের যাদের প্রয়োজন পড়ে নাই। সেই মানুষগুলি নিজেরা কতৃত্ববাদী হয়েছেন। স্বৈারাচর হিসেবে নিজেদের আবিভ‚ত করেছেন। কাজেই স্বৈারাচর যদি রুখতে হয় রাজনৈতিক যে মানসিকতা, রাজনৈতিক যে কালচার সেটার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। মৌলভীবাজার পৌর বিএনিপর আহŸায়ক সৈয়দ মমসাদ আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক এমপি এম.নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন।
অতিথি হিসাবে ছিলেন- পৌর বিএনপি সম্মেলন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ফখরুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার মুজিবুর রহমান মজনু, আবুল কালাম বেলাল। সম্মেলনে জেলা ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :