বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে। নীতিমালায় সই করেছেন বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীন।
নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী, ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স হবে ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ ৭ বছর। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত হতে হবে।
ভর্তির জন্য আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ারও সুযোগ রাখা হয়েছে। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রতি শ্রেণির শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫৫ জন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে।
ভর্তির তারিখ ও ফি
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির তারিখ ও আবেদন ফি নির্ধারণ করবে। মাউশি ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তির সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
বিদ্যালয় পছন্দক্রম
একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দ দিতে পারবে। ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম গণ্য হবে। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত বিদ্যালয় একটি নির্বাচন করে নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যাচমেন্ট এরিয়া
ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। বিদ্যালয় প্রধানরা সংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
অন্যান্য কোটা
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১ শতাংশ (প্রত্যেক ০.৫%)
যমজ কোটা ৩% থেকে ২% কমানো হয়েছে
সহোদর কোটা ২% থেকে ৩% বৃদ্ধি
ষষ্ঠ শ্রেণিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ শিক্ষার্থীদের জন্য ১০% আসন সংরক্ষিত
আবেদন ও লটারি সম্ভাব্য তারিখ
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ১৯ নভেম্বর, অনলাইন আবেদন ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ডিজিটাল লটারি সম্ভবত ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭-২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবেন।
অভিভাবকের আপত্তি
ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা (৪০%) নিয়ে কিছু অভিভাবক আপত্তি জানিয়েছেন, বিশেষ করে যারা অস্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস করছেন। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোটা থাকলে শিশুরা আশেপাশের বিদ্যালয়ে পড়তে পারবে এবং বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব হবে।

আপনার মতামত লিখুন :