আমতলীতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীর অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৬ রাত

জেলা প্রতিনিধি,বরগুনা ।।  আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা জাহান তানিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাহা নুহাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীর মা জুলেখা আফরোজ এ ঘটনায় আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী রবিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
জানা যায়, জুলেখা আফরোজ কলির মেয়ে মুনতাহা নুহা ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযোগে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক আফরোজা জাহান তানিয়া বিভিন্ন সময়ে নুহাকে প্রায়ই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছেন। গত ১৯ নভেম্বর মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে পরীক্ষা হলে প্রবেশের মুহূর্তে শিক্ষক তানিয়া শিক্ষার্থী নুহাকে গালাগাল করেন এবং মারধরের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় নুহার মা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর সহকারী শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার দাশকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষার্থী মুনতাহা নুহা জানান, শিক্ষক তানিয়া প্রায়ই তাকে গালাগাল করেন এবং মারধর করতে উদ্যত হন। মডেল টেস্টের দিন পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে তাকে গালাগাল করা হয় ও মারতে উদ্যত হওয়ায় ঠিকভাবে পরীক্ষা দিতে পারেননি।
 
নুহার মা জুলেখা আফরোজ বলেন, ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক তানিয়া আমার মেয়েকে কারণে-অকারণে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছেন। গত বুধবার পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে গালাগাল ও ভয় দেখানোয় আমার মেয়ে সঠিকভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি। আমি ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক আফরোজা জাহান তানিয়া বলেন, আমার মেয়ে আর ওই মেয়ে একই শ্রেণিতে পড়ে। পরীক্ষার হলে আমার মেয়েকে বিরক্ত করায় আমি শুধু বারণ করেছি। খারাপ আচরণ বা নির্যাতন করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমতলী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার দাশ বলেন, তদন্তের চিঠি পেয়েছি। যথাসময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
 
আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম বলেন, অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 

Link copied!