আজ ২৭ নভেম্বর ২০১৯ সকালে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে “বিদ্যুতের মূল্য নতুন করে অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির পায়তারা বন্ধের দাবীতে” জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক “নাগরিক সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। নিয়োগ, ক্রয়, উৎপাদন, সঞ্চালন ও সেবাখাতে চরম দুর্নীতি বিরাজ করছে। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যর ভিত্তিতে আমরা জানলাম গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রেন্টাল কুইক রেন্টাল কোন প্রকার বিদ্যুৎ সর্বরাহ না করেও ৫৩ হাজার কোটি টাকা পিডিপি’র কাছ থেকে নিয়েছে। জনগণের কাছে এভাবে অর্থ আদায় করে অনৈতিকভাবে কতিপয় ব্যক্তিকে সুবিধা দেয়া কাম্য নয়।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, বর্তমানে জীবন-যাত্রার ব্যায় সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বেই আজ জীবন-যাত্রা ব্যয় কমানোর দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থা লাগামহীন। এর মধ্যে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করলে আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার ব্যবস্থা হবে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বর্তমান সময়ে যথাপযোক্ত নয়। সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দুর্নীতি ও ভুল নীতিতে লাগামহীন বিদ্যুৎখাত। দুর্নীতি উচ্ছেদে কোন পদক্ষেপ নেই। অথচ অযৈক্তিকভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি চলমান। এই দুর্নীতি রোধ করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রয়োজন পরবে না। তিনি বলেন, বিআরসি বিদ্যুতের অযৈক্তিক উৎপাদন খরচ, বিতরণ, ব্যয় কমানোয় কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। এরা সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গণশুনানীর নাটোক করে। তাই অযৈক্তিক মূল্য বৃদ্ধির পায়তারা রুখে দাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কর্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জনগণের মতামতের মূল্যায়ন করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিল করা হোক। সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পী সরদার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর সরকারের জোর দেয়া উচিত। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত বন্ধ করা হোক। আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য হুমায়ুন কবির হীরু, কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ডিপিপি’র মহাসচিব কাজী আমান উল্যাহ মাহফুজ প্রমুখ।