ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে চরমোনাই পীরের ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, ঢাবি ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাশ করে ডাকসু একটি অসাংবিধানিক ও অধিকার বহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্যাম্পাসে কে কোন মত ও পথের রাজনীতি করবে তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার ডাকসু রাখে না।
বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, মুক্ত চিন্তার সূতিকাগার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের মতো সর্ববাদি আদর্শভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা একটি স্বৈরাচারমূলক আচরণ। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, স্বৈরাচার বিরোধী গৌরবময় অতীত সমৃদ্ধ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডাকসু নিজেই স্বৈরাচারী আচরণ করছে। তিনি ডাকসু নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ম ও ইসলাম বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও অনুভূতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করে ডাকসুর মতো একটি সর্বজন সমন্বিত প্রতিষ্ঠানকে কলংকিত করবেন না।
সমাবেশে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াছ হাসান বলেন, ডাকসুর অধিকাংশ দায়িত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ রয়েছে। ছাত্রলীগের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবস্থানও ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে নয়। সেখানে ডাকসুতে কারা ধর্মী রাজনীতির বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নেয় তা খতিয়ে দেখতে হবে।
সংগঠনটির প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গণী, আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, ঢাবি শাখা সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি মাহদী হাসান, দক্ষিণ সভাপতি আল আমিন সিদ্দিকী, পশ্চিম সভাপতি মনোয়ার হোসাইন, উত্তর সাধারণ সম্পাদক মুহা. আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।