সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যেখানে প্রতিনিয়ত গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুধু মাত্র ৫জন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও গুটিকয়েক সেবিকা দিয়ে চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে নেই কোন ল্যাব ও টেকনিশিয়ান। এক্সরে ও ইসিজি মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। চিকিৎসকদের পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য নির্ভর করতে হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিকের রিপোর্ট এর উপর। এ সব ক্লিনিকগুলোর নেই কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান।
এসব ক্লিনিকগুলোর ভুল রিপোর্ট এর কারনে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক রোগী। ক্লিনিকগুলোর খামখেয়ালীপনার জন্য আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। এতে করে চিকিৎসা সেবা ব্যপকভাবে ব্যহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা হলেও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত থাকে শতাধিক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রান্না ঘরে রোগীদের জন্য অত্যন্ত নোংড়া পরিবেশে ভাত ও তরকারী রান্না করা হচ্ছে। আসল চিত্র হল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারপাশে নোংড়া আবর্জনার স্তুপ ও গর্তে পানি জমে থাকা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারপাশে যে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ও গর্তে পানি দেখা গেছে, সেখান থেকে ব্যাপক পরিমানে এডিশ মশা উৎপত্তি হয়ে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত রোগী ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে আসা রোগীরা মারাত্মকভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মহিরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাব, এক্সরে মেশিন সহ বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি, ল্যাব ও কোন টেকনিশিয়ান নেই। এক্সরে মেশিন তাও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। তাছাড়া আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে ৫জন চিকিৎসক আছেন।