মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নস্থিত মোকামবাজারে ভেরিগাও জামে মসজিদ ও গোবিন্দপুর জামে মসজিদের নামে জবরদখলকৃত খাস ভূমি (নদীর উত্তর পাড়) থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি আজও।
স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভেরিগাও জামে মসজিদ ও গোবিন্দপুর জামে মসজিদের নামে জবরদখলকৃত খাস ভূমি (নদীর উত্তর পাড়) থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এ পর্যন্ত একাধিকবার অভিযান শুরু হলেও, তা আলোর মুখ দেখেনি রহস্যজনক কারণে। খোজ নিয়ে জানা গেছে- সরকারী খাস ভূমি জবরদখল করে গোবিন্দপুর জামে মসজিদের আয়ের নামে মার্কেট নির্মান করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়াবানিজ্য চালিয়ে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। পরবর্তীতে গোবিন্দপুর জামে মসজিদের দেখাদেখি ভেরিগাও জামে মসজিদের আয়ের নামে গোবিন্দপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন সরকারী খাস ভূমি জবরদখল করে মার্কেট নির্মান শুরু করে অপর একটি প্রভাবশালী মহল।
এর প্রেক্ষিতে মোকামবাজারের ব্যবসায়ী জহুর মিয়া রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্তপূর্বক পুলিশ পাঠিয়ে মার্কেট নির্মানকাজ বন্ধ করান। এরপর দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ০৮/০৩/২০১৮ইং স্থানীয় তহশিলদার ও সহকারী তহশিলদারকে সাথে নিয়ে মৌলভীবাজারের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নেছার উদ্দিনের নেতৃত্বে মসজিদের নামে জবরদখলকৃত উক্ত খাস ভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নাটক শুরু করা হয়।
এসময় ভেরিগাও জামে মসজিদের নামে জবরদখলকৃত খাস ভূমিতে নির্মানাধীন অবৈধ মার্কেটের কিয়দংশ ভাঙ্গা হলেও গোবিন্দপুর জামে মসজিদের নামে জবরদখলকৃত খাস ভূমিতে নির্মিত মার্কেট অক্ষত রেখে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নেছার উদ্দিন উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে ফিরে যান। সেইথেকে ওই উচ্ছেদ অভিযান আর আলোর মুখ দেখেনি অদ্যাবধি। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মোকামবাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান- সরকারী খাস ভূমি জবরদখল করে নির্মিত ও নির্মানাধীন এ দুটি অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদের জন্য একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হলেও, প্রতিবারই তা বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি রহস্যজনক।
তারা অনতিবিলম্বে সরকারী খাস ভূমি জবরদখল করে নির্মিত ও নির্মানাধীন এ দুটি অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদের জোর দাবী জানান। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী মৌলভীবাজারের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নেছার উদ্দিন আজ ৪ জুন মুঠোফোনে জানান- রাজনগর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকার কারনে উচ্ছেদ অভিযান একটু বিলম্ভ হয়েছে। অতি শিগ্রই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে ।