রওশন আরা শিলা,আত্রাই প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ের কাসুন্দা গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাত্রে স্বামী, শশুর,শাশুরী,ও ননদেও হাতে শারমিম নামে এক গৃহ বধু নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহ বধুর বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যার অভিযোগ করেন।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত্রে আত্রাই উপজেলার কাসুন্দা গ্রামে শারমিম (২২) নামের স্বামী, শশুর,শাশুরী,ও ননদের হাতে চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে। গত তিন বছর পূর্বে উপজেলার কাসুন্দা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ সরদারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। শারমিম এর স্বামী দির্ঘদিন যাবৎ সৌদি প্রবাসী । শারমিম উপজেলার সাহেবগহ্জ গ্রামের এমদাদুল হকের মেয়ে।
শামিম এর বড় চাচা উপজেলার সদও পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান মোঃ আফছার আলী প্রামানিক প্রতিবেদককে জানান গতবৃহস্পতিবার রাত্রে স্বামী সবুজ সরদার সহ মা বোন ভাই সহ তার সয়ন ঘরে নির্যতন করে এবং অবশেষে বালিশ চাপা দিয়ে শাশরোধ করে হত্যা করে হত্যা করে তার শয়ন ঘরে শারমিম এর গলায় দঁরি দিয়ে ঘরের ভিতর তীরের সংগে ঠাংগাইয়া রেখে চিৎকার করে বাড়ির আশে পাশের লোক জন কে গলায় পাঁস দিয়েছে বলে জানায়। পরে এলাবাসী এসে শারমিমকে ঝুলন্ত অবস্থায় নামিয়ে মহুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে গোপনে ফেলে রেখে য়ায়। ইতি মধ্যে সবুজ এর পিতা সাহেবগঞ্জ গ্রামের মানিক উল্যাহর ছেলে বিষয়টি শামিমএর পরিবারকে অবহিত করলে পরিবারের আতিয় স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে মেঝেতে শামিমকে মৃত অবস্থায়
দেখে প্রথমে হাসপাতালের কতর্বরত ডাক্তারকে বিষয়টি জানান। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারের সহযোগীতায় থানায় জানালে আত্রাই থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার কওে থানায় নিয়ে যায়। মেয়েকে হারিয়ে মা-বাব পাগল প্রায়।শারমিম এর বাবা –মা এখন মেয়ের ভালবাসার স্মৃতি আর ন্রায় বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। এ বিষয়ে গৃহ বধূ শারমিমএর পিতা বাদী হয়ে জামাই সবুজ,শশুর,শাশুড়ী,ননদ,দেবর পাঁচজনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে আত্রাই থানার তদন্ত ওসি শামসুল আলম জানান,শারমিম এর পিতা এমদাদুল হক থানায় হত্রার অভিযোগ দিয়েছেন। লাশ গত শুক্রবার ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া পর অভিযুক্ত ব্রক্তিদেও বিরুদ্ধে আইন গত ব্রবস্থা গ্রহন করা হবে। অপর দিকে শারমিম এর লাশ ময়না তদন্ত শেষে গতশুক্রবার রাত্রিতে সাহেবগহ্জ কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।