আদম পাচারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় মানব পাচার প্রতিরোধ মামলা ফাসিয়ে দেয়া হলো সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলামকে। জানা যায় সাংবাদিক তাজুল ইসলাম অন লাইন বার্তা সংস্থা এসপিএন, দৈনিক পৃথিবী, দৈনিক বার্তা সরেজমিন সহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় কেরানীগঞ্জের রঞ্জিতপুর এলাকার সমশের আলীর পুত্র তানবির আলম উজ্জলকে দিয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মিথে মামলা রুজু করান আদম পাচারকারীরা।
ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়, মানব পাচার কারীর দলের অন্যতম সদস্য রফিকুল সিআইডি পুলিশকে ভূল বুঝিয়ে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা সাংবাদিক তাজুল ইসলামকে তার অফিস থেকে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বিজয় কৃষ্ণ করের নেতৃত্বে সিআইডি একটি টিম গ্রেফতার করে। ৪ নভেম্বর সিএমম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
সাংবাদিক তাজুল ইসলাম এঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার জন্য শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করা হলে জবানবন্দি নিতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলামকে ৪ বার রিমান্ড চান। বিজ্ঞ আদালত পুলিশ রিমান্ড না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান এবং জবানবন্দি নিতে ব্যর্থ হয়ে মানব পাচারকারী এবং সিআইডি অসাধু কর্মকর্তারা মামলার ১নং আসামী হাকিম সরকারকে দিয়ে ২৪-১১-২০১৬ তারিখে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি নিয়ে সাংবাদিক তাজুলকে ফাঁসানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায় ১নং আসামী মোঃ হামিক সরকার, ২নং আসামী সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ এদেরকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছেন। কিন্তু মামলার ৩নং আসামী এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। ৩নং আসামী কে ধরার জন্য তারা কোন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে না বলে জানা যায়। মামলা সূত্রে জানা যায় মামলার বাদী উজ্জল যে বিবরণটি দিয়েছে তাতে ঘটনাটি ঘটেছে ৫-৬-২০১৪ সালে। ইসলামপুর মুনসুর কেসেল মার্কেট রফিক এন্ড ব্রাদার্স নামক ৬/এ নং দোকানের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে কানাডায় যাওয়ার কথা বার্তা সম্পন্ন হয়।
দোকানের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর কাছে টাকা পয়সা লেনদেন করেন উজ্জল এর মামা শাহিন পাশা মামুন। উজ্জল যেতে না পারায় উজ্জলদেও টাকার অনুকুলে মানব পাচারকারী ও আদম ব্যবসায়ী মোঃ রফিকুল ইসলামের, ইসলামপুর শাখার সিটি ব্যাংকের নিজ একাউন্ডের দুটি চেক প্রদান করেন। চেক দুটি ডিজঅনার হয়। এ পক্ষীতে ৯ (নয়) লক্ষ নগত টাকা প্রদান করেন উজ্জলের মামাকে। মাবন পাচারকারী হাকিম সরকার পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয় ২০-০৬-২০১৪ সালে কিন্তু বাদী কেন? সেই সময় মামলা দায়ের করেনী। মামলার বিবরনে বোঝা যায় এই মামলার আসামী হবে মোঃ রফিকুল ইসলাম, হামিক সরকার ও মোঃ সামশুল হক ব্যাপারী গংরা।
কিন্তু রহস্য জনকভাবে মোঃ রফিকুল ইসলামকে মামলার আসামী থেকে বাদ দিয়ে সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলামকে সাজানো মিথ্যে মামলায় আসামী করে মামলা দায়ের করে ৫-৯-১৬ সালে। কোতয়ালী থানার মামলা নং-০৩ তাং ৫/৯/১৬ ধারাঃ মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের ৬(২)/৭/৮/১০ তৎসহ ৪২০/৪০৬ পেনাল কোড। এটা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করায় তাকে জড়িয়ে এই মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সূত্রে জানা যায় সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলাম যখন সিআইডি পুলিশ রিমান্ডে ছিলেন তখন বাদী সিআইডি অফিসে আসা যাওয়া করেছেন।
কিন্তু সিআইডি পুলিশ কর্তৃক রিমান্ডে থাকা সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলাম মামলার আসামি কিনা সনাক্ত করতে পারেনি মামলার বাদী। এমনকি তারা সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলামকে চেনেন না বলে জানা যায়। এতে করে পুরো ঘটনাটি সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যে ও সাজানো বলে প্রকাশ পায়। সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলাম উল্লেখিত ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যে মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে জেলের ঘানি টানছে। সাংবাদিক শেখ মোঃ তাজুল ইসলামের পরিবার বর্গ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত উপরে উল্লেখিত ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যে সাজানো মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় আইন মন্ত্রী , মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।