কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারে চলছে পটুয়াখালীর সাগর পাড়ের কুয়াকাটা লতাচাপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল কর্মকান্ড। আধুনিক পাঠদান ও শিক্ষা পদ্ধতি বিদ্যালয়টিকে করে তুলেছে অনন্য। এরই মধ্যে সবার কাছে এ প্রতিষ্ঠানটি জেলার প্রথম্র ডিজিটাল ও মডেল বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে আঙুলের ছাপ দিয়ে শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করতে হয় পটুয়াখালীর সাগর পাড়ের লতাচাপলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে অভিভাবকের মোবাইল ফোনে পৌঁছে যাচ্ছে এসএমএস বার্তা। ১০টি সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে শ্রেনী কক্ষে পাঠদান হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে। কেন্দ্রীয় সাউন্ড সিস্টেমে প্রধান শিক্ষিকার নজরদারি ও দিক নির্দেশনায় চলে শ্রেণী কক্ষের পাঠদান। অনলাইনের জানানো হচ্ছে ফলাফল। কম্পিউটার ল্যাবে শিক্ষার্থীরা জানার চেষ্টা করছে বিশ্বকে।
বিদ্যালিয়টিতে ঢুকতেই চোখে পড়বে পুরো দেয়াল জুড়ে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য। রয়েছে ভৌগলিক কর্নার, প্রযুক্তি কর্নার, গ্রন্থাগার, স্পোর্টস কর্নার, বিজ্ঞানাগার, সততা স্টোর, গনিত ল্যাব, সততা কুটির, মহানুভবতার জ্ঞানসহ ফুল, ফল, সবজির বাগান ও অবিভাবকদের বিনোদন কক্ষসহ পাঠাগার। শতভাগ পাসের হারসহ ক্রীড়া-সংস্কৃতি প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রয়েছে ধারাবাহিক সাফল্য।
জেলার প্রথম এ ডিজিটাল বিদ্যালয়কে মডেল হিসাবে ব্যবহার করে পর্যায়ক্রমে সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এ আদলে গড়া হবে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।