নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের পুরান গোগনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ন হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান নিজ হাতে মাটি কেটে ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ২০০০ সালে এলাকাবাসীর অর্থে ৪টি টিনের ঘর তৈরী করার মাধ্যমে স্কুল যাত্রা শুরু করে। সে সময় নির্মিত বর্তমানে স্কুলটির ৪টি কক্ষের মধ্যে ১টি কক্ষ সম্পূর্ন পরিত্যক্ত। বাকী ২ টি কক্ষে পাঠদান করা হয় অপর কক্ষটি অফিস হিসেবে ব্যবহত হচ্ছে। গত কিছুদিন পুর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান. আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির সার্বিক ব্যবস্থায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে স্কুলটির সীমানা প্রাচীর নির্মান করে দেন।
বর্তমানে স্কুলটিতে শিক্ষক স্বল্পতা, কক্ষ স্বল্পতা, টয়লেট নেই, সুপেয় পানি পানের জন্য একটি কল নেই, বিদ্যুৎ নেই, এমনকি প্রয়োজনীয় চেয়ার, টেবিল বেঞ্চও নেই। এলাকাবাসী জানান, সরকারী স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলেও স্কুলে সুবিধা না পাওয়ায় অনেকে চলে আসে। বর্তমানে ১১৫ জন শিক্ষার্থী অত্র স্কুলে পড়ালেখা করছে। এমনকি পিয়ন না থাকায় শিক্ষকদেরকে ঘন্টা বাজানো সহ সবকাজ করতে হয়। উক্ত স্কুলে সরকারী কোন কর্মকর্তা এখনো পর্যন্ত না যাওয়ায় উন্নয়নের ছোয়া হতে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
স্কুলটি এতই জরাজীর্ন যে স্কুল তালাবদ্ধ থাকার পরও টিন উচিয়ে অতি সহজেই ভিতরে ডোকা যায়। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন হতে মাত্র ১২/১৩ কিলোমিটার দুরত্বে স্কুলটির অবস্থান হলেও সংশ্লিস্ট দফতরের কোন অফিসারের পদচিহৃ পড়েনি। নানাবিধ সুযোগ সুবিধার অভাবে শিক্ষার্থীরা বেসরকারী স্কুল মাদ্রাসায় ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মাতবর জানান, আমার স্কুলে ৪ জন শিক্ষকের কৌটা থাকলেও লাকি আক্তার ও নুর আলম নামে ২ জন শিক্ষক রয়েছে। এছাড়াও রাত্রি আক্তার নামে একজন প্যারা শিক্ষক রয়েছে।
সচেতন এলাকাবাসী স্কুলটিতে দ্রুত বহুতল ভবন নির্মান করে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন সহ আধুনিক করে তুলতে দানবীর এমপি সেলিম ওসমান ও ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুল হকের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।