উখিয়ার বালুখালি শুল্ক অফিস থেকে ১৫৫টি গরু নিলাম দিয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকায়! এতে গড়ে প্রতিটি গরুর দাম পড়ে মাত্র ১২ হাজার টাকা। আর এতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে এলাকা ও তার আশপাশে। অভিযোগ উঠেছে, ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে এই নিলাম সম্পন্ন করা হয়েছে। সিন্ডিকেট করে সব গরু নিলাম হওয়ায় সরকার প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বুধবার ১৫৫টি গরুর নিলাম দেয়া হয় বালুখালি শুল্ক অফিসে। একমাত্র নিলাম ডাককারী মেসার্স আরিফ এন্টারপ্রাইজ নিলামে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকায় সব গরু কিনে নেয়। এতে হিসেব অনুযায়ী দেখা যায়, গড়ে প্রতিটি গরুর দাম মাত্র ১২ হাজার ৮৬৯ টাকা। যা বলতে গেলে ছাগলের দাম দিয়ে গরু কেনার মতো! সম্প্রতি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা সাথে করে তাদের গবাদি পশু নিয়ে সীমান্ত দিয়ে এদেশে আসে। এসময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা গবাদি পশু জব্দ করে। গত কয়েকদিনে উখিয়ার সীমান্ত এলাকার আমতলি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা অবৈধভাবে প্রবেশ করা ১৫৫টি গরু আটক করে। পরে স্থানীয় বালুখালি শুল্ক অফিসে এসব গরু হস্তান্তর করে। বালুখালি কাস্টমস অফিস নিলাম ডাকলে মেসার্স আরিফ এন্টারপ্রাইজ সিন্ডিকেট করে গরুগুলো কিনে নেয়। এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে অফিসাররা জড়িত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বালুখালি শুল্ক অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ১৫৫টি গরুর মধ্যে ৬০টি গরুর নিলাম মূল্য পাওয়া গেছে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাকি গরু নিলাম হয়েছে ১৫ থেকে হাজার ৩০ হাজার টাকায়। প্রাপ্য টাকাসমূহ সংশিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে রাজস্ব খাতে জমা দেয়া দেয়া হয়। স্থানীয় রাজাপালং ইউপি মেম্বার আবদুর রহিম জানান, মাত্র ১২ হাজার টাকায় গরু পাওয়ার কথা শুনে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। যেখানে একটি ছাগল কিনতে ২০ হাজারের বেশি টাকা লাগে। সেখানে মাত্র ১২ হাজার টাকায় নিলামে গরু পাওয়া অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। কোনো অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে এই নিলাম হয়েছে।অপর এক নিলাম ডাককারী আনিসুল ইসলাম জানান, অনেকের অজান্তে সিন্ডিকেট করে এসব গরু নিলাম দেয়া হয়। এতে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।