কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ। রুপালী ইলিশ যেন জেলেদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সমুদ্রের পানির সাথে ইলিশ ঝাঁক বেধেঁ লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা করছে। গভীর সমুদ্রের যেখানেই জাল ফেলছে জেলেরা, সেখানেই ইলিশ আর ইলিশ। প্রতিটি জেলে ট্রলার ইলিশ বোঝাই করে বন্দরে ফিরছে।
বিক্রি করেই আবার সমুদ্রে যাচ্ছেন জেলেরা ইলিশ শিকারে। প্রতিটি ট্রলারে পঞ্চাশ থেকে আড়াই’শ মন ইলিশ নিয়ে তীরে ফিরছেন। প্রতিমন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা দরে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এত ইলিশ ধরা পড়তে দেখেনি জেলেরা। ইলিশে সয়লাভ হয়ে গেছে মৎস্যবন্দর আলীপুর মহিপুরসহ উপকুলের আড়ত গুলোতে। বন্দরের আশেপাশের বসবাসকারীরা কম দামে ইলিশ খেতে পেরে খুবই খুশি। মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুর,কুয়াকাটা ইলিশের আড়ত গুলোতে রাত দিন ইলিশ বেচাকেনায় ব্যস্ত জেলে,আমদানী রপ্তানীকারকরা। কুয়াকাটা,আলীপুর-মহিপুর থেকে প্রতিদিন ট্রাক বোঝাই করে ইলিশ নেয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বড় ইলিশ বাছাই করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বাইরে। মৎস্য আড়তদাররা জানান,গত ১৫ দিনে কুয়াকাটা,আলীপুর-মহিপুর বন্দরের আড়ত গুলোতে প্রায় হাজার কোটি টাকার ইলিশ বেচাকেনা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (০৮ আগষ্ট) মহিপুর ইলিশের আড়ত গুলোতে গেলে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তেই ট্রলার থেকে ঝাকিঁতে করে ইলিশ তোলা হচ্ছে খোলা ডাকে বিক্রির জন্য। লুনা আকনের মালিকানাধীন আল্লাহ ভরসা মৎস্য আড়ত এ গেলে দেখা মেলে ইলিশের পাহাড়। লুনা আকন জানান,চট্রগ্রামের মালিক মোঃ ইব্রাহিমের এফবি নুপুর ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তিনদিন পর ২২০ মন ইলিশ নিয়ে ফিরে এসেছে মহিপুর বন্দরের তার আড়তে। প্রতিমন ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে ১৪ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দরে।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান,ঝাটকা ইলিশ না ধরার ফল পাচ্ছি আমরা। সাগরে ইলিশ আর পানি এখন সমান। ঝাটকা ধরার উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকলে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে। অপরদিকে চলতি ইলিশ মৌসুমে সাগর জলদস্যু মুক্ত থাকায় জেলেরা নির্বিঘেœ মাছ ধরতে পারছেন।