ঢাকা শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

হবু শ্বশুর বেতন জানতে চাওয়ায় বিয়ে ভেঙে দিলেন পাত্র

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:২০ রাত

বিয়ের জন্য বর ও কণে পক্ষের মধ্যে চলছে আলোচনা। উভয়পক্ষ একে অপরকে পছন্দ করেছেন। তবে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়েই বেঁকে বসলেন পাত্র। সাফ জানিয়ে দিলেন এই বিয়ে তিনি করবেন না। আর এমন মত পরিবর্তনের কারণ- হবু শ্বশুর তার বেতন জানতে চাওয়া।

অদ্ভুত এ ঘটনাটি ঘটেছে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে। এক তরুণ প্রায় চূড়ান্ত হতে যাওয়া তার বিয়ের প্রস্তাব শুধু বেতন জানতে চাওয়ার ক্ষোভেই ভেঙে দিয়েছেন। এ ঘটনা দেশটিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এক তরুণীর সঙ্গে ওই তরুণের বিয়ের আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এমন সময় পাত্রীপক্ষের তরফ থেকে পাত্রের ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। বিষয়টিকে অপমানজনক ও অযৌক্তিক বলে মনে করেন তরুণ। এরপরই তিনি বিয়ে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

পরে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সারাইয়া নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তরুণ বলেন, “আমি কি কোনো ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেছি, যে আমার ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে?” এই প্রশ্ন তুলে তিনি বুঝিয়ে দেন, পাত্রীপক্ষ তাকে আর্থিকভাবে যাচাই করতে চেয়েছিল, যা এক ধরনের অপমানের শামিল।

তরুণ জানান, এমন দাবিকে তিনি শুধু অযৌক্তিকই নয়, বরং অসম্মানজনকও মনে করেন। বিয়ের প্রাথমিক আলোচনার সময় এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। শেষপর্যন্ত, তিনি নিজের সম্মানের জায়গা থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর জর্ডানের সমাজে বিয়েকে ঘিরে অতিরিক্ত প্রত্যাশা, অর্থনৈতিক চাপ ও পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাস্তবতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এমন ‘বৈষয়িক যাচাই-বাছাই’ বিয়ের মূল উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বর্তমানে দেশটিতে উচ্চ বেকারত্ব, বিয়ের অতিরিক্ত খরচ এবং কঠিন সামাজিক শর্তের কারণে বহু তরুণ-তরুণীর জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। এই ঘটনাটি সেই সংকটের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।

সূত্র : গালফ নিউজ

 

Link copied!